জাতীয় গ্রিডে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি
পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে এক বছর আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলেও সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। কর্তৃপক্ষের আশা শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

পটুয়াখালীর পায়রা দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩ শ ২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলেও সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় গত বছর থেকে মাত্র অর্ধেক সরবরাহ করতে পারছে। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।
এক হাজার একর জমির ওপর নির্মিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনের জন্য দৈনিক ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কয়লা ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি বন্দরের নিজস্ব টার্মিনালে ভিড়ছে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া গোপালগঞ্জ থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। উৎপাদিত ৬শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে দক্ষিণবঙ্গের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাছিব জানান, গোপালগঞ্জের যে ১৩শ ২০ মেগাওয়ার্ড সাবস্টেশন আছে। সেটা আমিনবাজারে নিয়ে আসতে পারলে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে পুরোপুরি সক্ষমতা দেখাতে পারবো।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রেজাউন ইকবাল খান জানান, দুটো পাওয়ার প্লান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে প্রস্তুত এখন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
0 Comments