Bottom Article Ad

হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশের নীরব ভূমিকা কেন?

 ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের বিপরীতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন পুলিশের এই নীরব ভূমিকা? এর উত্তর মেলেনি দুইদিনেও। সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর না হওয়ার কারণেই বার বার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে মৌলবাদী চক্র। এমন অভিযোগ তদন্ত করে দেখা উচিতহেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশের নীরব ভূমিকা কেন? বলে মনে করেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা।



ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হেফাজতে ইসলামের টানা তিনদিনের তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-সহিংসতার শিকার হয়েছে রেল স্টেশন, জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌর মিলনায়তনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ব্যবস্থা।

ধর্মীয় সংগঠনটির তাণ্ডবে সাক্ষী হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। রক্ষা পাননি সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীরাও। তবে হেফাজতের সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছিলো উঠছে সে প্রশ্নও।

নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতায় আহত সাংবাদিক মৌ খন্দকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি ছিলো। তাদেরকে বলি আপনারা গেলে হয়তো আমাদের গাড়িটি ভাঙচুর করবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী বলেন, সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারার কারণেই বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সাম্প্রদায়িক চক্র। সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ছিলো। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান সরকারি দলীয় এ সাংসদ।

তবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কৌশলগত কারণে হেফাজতের তাণ্ডবের বিপরীতে নমনীয় থাকতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সেটি তদন্ত করে দেখার পাশাপাশি সহিংসতার পেছনের কুশীলব আর হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতের বাইরেও অন্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে উসকানি দেয়ায় ডিজিটাল আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ।

Post a Comment

0 Comments